রিমান্ডে মোহাম্মদ সাহেদ ও ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা অপকর্মের চিত্র। শুধু রিজেন্ট হাসপাতালে অনিয়মই নয়, ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে নিম্নমানের পিপিই সরবরাহ করতেন সাহেদ। এই পিপিই’র এক লাখ ৭০ হাজার পিস কিনেছে শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরই। আর জেকেজির অনিয়মের সাথে বিভিন্নজনের যোগসাজশের কথা স্বীকার করেছেন ডা. সাবরিনা।
দেশে এখন সব থেকে আলোচিত নাম রিজেন্টের মোহাম্মদ সাহেদ এবং জেকেজির ডাক্তার সাবরিনা চৌধুরী। আদালতের নির্দেশে দু’জনই আছেন গোয়ান্দা পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে।
পুলিশি রিমান্ডে বেরিয়ে আসছে তাদের অপকর্মের চাঞ্জল্যকর নানা তথ্য।
রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদের চিকিৎসা খাত ও শিক্ষাখাত জালজালিয়াতি ও মানুষের কাছে থেকে অর্থ আত্মসাতের নানা প্রতারনার কথা উঠে আসছে।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে নতুন অনেক তথ্য দিচ্ছেন সাহেদ। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্টই নয়, আলবার্ট গ্লোবাল কোম্পানি নামে অনলাইনে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে নিন্মমানের স্বাস্ব্য উপকরণ সরবরাহ করেছে সাহেদ। এর মধ্যে খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতরই এই ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে কিনেছে ৫০ হাজার পিস পিপিই, এক লাখ মাস্ক, ও ২০ হাজার নিম্মমানের ডেড বডি ব্যাগ।
পুলিশ জানানয়, জেকেজির অনিয়মের সাথে বহুমানুষের যোগসাজেস কথা স্বীকার করেছে ডাক্তার সাবরিনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সাহেদের প্রতারণার শিকার স্বাস্থ্য অধিদফতরও। নিজেদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএপি