পুঁজিবাজারের টিআইএনের বাধ্যবাধকতা থেকে সরে এলো এনবিআর

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম পুঁজিবাজারের টিআইএনের বাধ্যবাধকতা থেকে সরে এলো এনবিআর

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে আয়কর সনদ বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন)-এর বাধ্যবাধকতা থেকে সরে এলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি প্রাক-বাজট আলোচনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে বলে ঘোষণা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এর পরেই নানা আলোচনা চলতে থাকে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রিহ্যাবের সঙ্গে আলোচনায় টিআইএন এর বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসেন। সেই সঙ্গে আগে যেভাবে বিও একাউন্ট খোলা হতো এখনো তেমনিভাবে হিসাব খোলা যাবে। এক্ষেত্রে টিআইএন লাগবে না।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টেইনলেস স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন। এসময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা যায় ভবিষ্যতেও সেই একই পদ্ধতিতে খোলা যাবে। তবে, অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে না। আমরা বাজেটে সকল প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে চাই। কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বেশি সুবিধা পাবে আবার কেউ সুবিধা পাবে না সেটা আমরা হতে দেব না। ব্যবসায়ে আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। অনেক সময় কাস্টমস ডিউটি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। আমরা এবারের বাজেটে দেখব কাস্টমস ডিউটি কমানো যায় কি না। আর এই বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, সামনে আরও আলোচনা হবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র এই সচিব বলেন, ছোট বা মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে গড়ে তোলা যায় সেটা আমরা দেখছি। আর ছোট বা মাঝারি শিল্প গড়ে উঠলে রাজস্ব আহরণ বাড়ে। দিন যত যাচ্ছে, রাজস্ব আহরণের মাত্রা বাড়ছে। কাজেই শুধু বড় প্রতিষ্ঠান নয়, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানও যেন রাজস্ব দেয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

আলোচনায় রিহ্যাবের প্রতিনিধিরা জানান, ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট কর ও ফি ৭ শতাংশ নির্ধারণ, আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদি রিফাইন্যান্সিং চালু, ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন, বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়াসহ একাধিক প্রস্তাব দেয়া হয়। 

এআই/ এফসি