রাজধানীর রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম রাজধানীর রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ
রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা- ছবি: জাগরণ

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনের পর প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

রাস্তায় দুধ ঢেলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে দেশের খামারিরা রাগে-ক্ষোভে রাস্তায় দুধ ঢেলে দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আমরাও প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে রাস্তায় দুধ ঢাললাম। প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এটা দুগ্ধ খামারিদের তেমন কাজে আসবে না বলে দাবি করেন তারা। পর্যায়ক্রমে গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হোক। কারণ মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ দুধ এখন আমরা দেশেই উৎপাদন করি। গত ৭ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। এ অবস্থায় আমদানি শুল্ক পর্যায়ক্রমে কিছুটা বাড়িয়ে দেশিয় দুগ্ধ শিল্পকে প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতা বাড়ানো হোক। তাহলে দেশের দুগ্ধ শিল্প বেঁচে যাবে এবং বিকাশ লাভ করবে।

দেশের উদীয়মান এ দুগ্ধ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য একটি মহল গুঁড়া দুধ আমদানির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ডেনমার্ক তাদের দেশের দুগ্ধ খামারিদের হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের দুগ্ধচাষিরা ভর্তুকি পায় না। ওইসব দেশ থেকে গুঁড়া দুধ আমদানির মাধ্যমে দেশের দুগ্ধচাষিদের অসম প্রতিযোগিতা এবং ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও নতুন বড় বিনিয়োগে বাধার ফলে দেশিয় বাজার ধ্বংস হয়ে গেলে উচ্চমূল্যে দুধ কিনতে হবে বলেও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

দুগ্ধ খামারিদের এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্ক ভিটা) চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাকিবুল রহমান টুটুলসহ অন্য নেতাকর্মী এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। 

এআই/টিএফ