বাজারে শীতের সবজি এলেও দাম চড়া

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২০, ১১:৪৮ এএম বাজারে শীতের সবজি এলেও দাম চড়া
ছবি: সংগৃহীত

শীতকাল মানেই বাজারে বাহারি সবজির পসরা। কম দামে পছন্দের সবজি কেনার সুযোগ। তবে উল্টো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক ও সবজি।এর সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর চড়া দাম তো আছেই।

শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি চিচিঙ্গা-ধন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে, পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিপিস বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিহালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

তবে কিছুটা দাম কমেছে শসা, কাঁচা মরিচ ও ফুল কপির। বর্তমানে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হয়েছিলো ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়।

আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বছরের সব সময়ই সবজির সরবরাহ থাকে। তবে সে তুলনায় দাম কমে না। এর মধ্যে শীতের সবজি বাজারে এলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি এলেও তা পর্যাপ্ত না। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

অন্যদিকে, স্বস্তি মিলছে না আলু  ও পেঁয়াজের দামেও। পেঁয়াজ আগের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সরকার দুই দফায় আলুর দাম বেঁধে দিলেও বাজারে সরকারের নির্দেশনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। তবে ভোক্তারা এক কেজি আলু ৪৫ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না। এমনকি এখন কোথাও কোথাও আলুর কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে আসা নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার ওপরে।

জাগরণ/এমআর