ঋণপত্রে (এলসি) জালিয়াতি রোধে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোতেও একটি নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোতে প্রেরণ করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের রফতানি বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চাৎপদসংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ শুল্ক বা বন্ড সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিপালনীয় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থায় সংরক্ষিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচনা করা হয়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্থাপনকারী ব্যাংক কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ তথ্য অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করা হয় না মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত হয়েছে। পাশাপাশি ঋণপত্র সংশোধন করা হলে সে মোতাবেক পূর্বে রিপোর্টকৃত অনলাইন ব্যবস্থার তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থায় অ-পূর্ণাঙ্গ তথ্যের কারণে ঋণপত্রের বেনিফিশিয়ারি নানাবিধ সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে, যা দেশের সার্বিক রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের স্বার্থে কাম্য নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জাগরণকে বলেন, সম্প্রতি এলসি নিয়ে কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি।
কেএ/এসএমএম