বাংলাদেশ

এলডিসি উত্তরণের সুপারিশ ইউএনজিএতে অনুমোদন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০১:০৯ এএম এলডিসি উত্তরণের সুপারিশ ইউএনজিএতে অনুমোদন

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) অনুমোদিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়।  

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ এর বাস্তবায়ন। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন এর চেয়ে আর ভালোভাবে কীভাবে হতে পারতো!’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রাতে এক বিবৃতিতে এই ঐতিহাসিক অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। একে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে তার কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব সাফল্য বলেও উল্লেখ করেন। 

বাংলাদেশ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি)’ ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করেছিল।

সিডিপি একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ইতোমধ্যে সিডিপির সুপারিশ অনুমোদন করেছে।

পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর কার্যকর হওয়ার কথা।

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ হিসেবে জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রস্তুতিকালীন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সব সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরণপরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হতে প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাসমূহ অব্যাহত রাখাসহ মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল ও পদক্ষেপ প্রণয়ন করছে।

জাগরণ/এসএসকে