চাল ফেলে পালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ১২:০৭ এএম চাল ফেলে পালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
সংগৃহীত ছবি

বোরো ধান কাটা শেষ। নতুন চালে ভরে গেছে চালের আড়ত আর খুচরা বাজার। এতে একটু স্বস্তি পাওয়ার কথা ছিল ক্রেতার। কিন্তু না, উল্টো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। আবার অভিযানে নামলে দোকানে চাল ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার বলছে অসাধু ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে অভিযান চলবেই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গেলো ১৫ দিনে নাজিরশাইল চালের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৯২ টাকা। 

মিনিকেট ১৫ দিনে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গরিবের ২৮ চালের দামও কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা। 

বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। সবচেয়ে কম দাম যে চাল, সেই স্বর্ণা-৫ চালের কেজিও এখন ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে সাত দিনের মধ্যে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খুচরা বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে।

বিক্রেতাদের দাবি, চালের দাম তারা বাড়ান না, বাড়ায় আড়তদার।

বরাবরের মতো মিলারদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেদের সৎ প্রমাণ করতে চান আড়তদাররা। মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়তদারেরাও বললেন, চালের দাম মূলত বাড়ায় মিল মালিক।

ভোক্তারা বলছেন, চালের মতো জরুরি পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া উচিত। তা না হলে চাল কারসাজির ঘটনা থামানো যাবে না। এক সময় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। 

চাল নিয়ে বাজারের এমন অরাজকতার মধ্যেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আশা করছে, এবার বোরোতে দুই কোটি সাত লাখ টনের ওপরে চাল উৎপাদিত হবে। 

যা বার্ষিক চাল উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ। সংগ্রহ মৌসুম ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে, আর তা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে