রাজস্ব আয় বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২, ১২:৪৯ এএম রাজস্ব আয় বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ

চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ঘাটতি থাকে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে রাজস্ব আয় বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ। 

আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। 

বাজেটের মোট টাকার মধ্যে সরকারি চাকুরীদের বেতন-ভাতাসহ অফিস আদালত পরিচালনায় খরচ করবে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। 

দেশের মানুষের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ উন্নয়ন, মেট্রোরেল, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অবকাঠামো উন্নয়নে খরচের পরিকল্পনা আগেই ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

কিন্তু খরচ করার পরিকল্পনা করলেই চলবে না, ভাবতে হবে সরকারের আয় রোজগারের কথাও। অর্থমন্ত্রী টেনে টুনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রোজগারে প্রস্তাব করেছেন। 

এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আদায় করবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া অন্যান্য ফি ও চার্জ থেকে ৬৩ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে চান অর্থমন্ত্রী।

৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে। যা মেটানোর জন্য ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন অর্থমন্ত্রী। আর বিদেশী ঋণ নেবেন ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা।

মানুষের প্রকৃত আয় কমলেও আগামী বছরে করমুক্ত ব্যক্তির আয় সীমা তিন লাখ টাকাই বহাল রেখেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে, রফতানিমুখী সব শিল্পের জন্য কর্পোরেট কর অর্ধেকের বেশি কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হচ্ছে। 

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এমন সময়ে তার চতুর্থ বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন যখন বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একই সাথে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার গতিও মন্থর।

অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

জাগরণ/অর্থনীতি/জাতীয়বাজেট/এসএসকে