বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চলিত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। এর আগে এ বছরের জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষাও করোনার কারণেই বাতিল করা হয়।
বর্তমানে বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হচ্ছে— করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শীতকালে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়বে। এ কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। আর এতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মূলত জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। সরাসরি পরীক্ষা বা ক্লাস টেস্ট নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেনম দ্বিতীয় ঢেউ এলে, সংক্রমণ বাড়লে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে হিসেবে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত। তাছাড়া শীতকালে করোনার প্রকোপ থাকলে সে হিসেবে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
জাগরণ/এমআর