হতাশ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১, ০১:৫৬ এএম হতাশ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীশূন্য ক্লাসরুম

করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা না হওয়ায় তারা একাকিত্বে ভুগছে। ঘরে থেকে বেশিরভাগ সময়ই তারা মোবাইলে গেম বা অনলাইনে থেকে এবং ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে।

গঠনমূলক কাজ না করায় তাদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে হতাশা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। যা তাদের আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অবসাদ কমাতে অনেকে মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্ত হচ্ছে।

অনলাইন আসক্তির কারণে অনেকেরই অনিয়মিত এবং অপর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে। মানসিক চাপের জন্য শিক্ষার্থীরা অবসাদ, প্যানিক অ্যাটাক, অতিরিক্ত রাগ, জেদ, একাকিত্ববোধে ভুগছে।

সময় কাটাতে শিক্ষার্থীরা টিকটক অ্যাপসে নেতিবাচক ভিডিও বানাচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, একজন শিক্ষার্থী যখন বিষণ্ন বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে তখন তা স্বীকার করে তার অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি খুলে বলতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাহফুজা খানম  বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখা, ডিগ্রি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থায় অনেকে হতাশা ও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। পরিবারের কেউ এই অবস্থার শিকার হলে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত সেই ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে।

পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করতে হবে।

জাগরণ/এমএ