অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাঁঠাল মিছিল

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ০১:৫১ এএম অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাঁঠাল মিছিল
সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগের সুরাহা না হওয়ায় তার বাসভবনের সামনে  কাঁঠাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল শুরু করেন তারা। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে গেলে মিছিলে বাধা দেন ফারজানা ইসলামপন্থি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা। 

দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষকরা। পরে বাসভবনে সামনে দিয়ে গিয়ে পাশের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ফারজানা ইসলাম একটি লজ্জার নাম। তার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা দুর্নীতি ও ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ থাকলেও তার অনুসারী চাটুকার শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনও তদন্ত অগ্রগতির মুখ দেখেনি। ফারজানা ইসলামের মতো এমন কোনও ভিসি আর কেউ চাই না।’ 

কাঁঠাল নিয়ে মিছিলের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মনে করিয়ে দেন, ২০১৭ সালে ক্যাম্পাসের একটি ঘটনা। সেই বছর ক্যাম্পাসে আন্দোলনে অংশ নেয়া ৬৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন অধ্যাপক ফারজানা। তিনি অভিযোগ করেন- শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনে কাঁঠাল ছুড়েছিল। 

একইসময়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ছাত্রলীগকে টাকা দেয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠে জাবি ক্যাম্পাস। 

সেই ঘটনার প্রতিবাদে এই কাঁঠাল মিছিল করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে সাক্ষাত করতে এসেছি। শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করতে আসি নি। তবে পরিস্থিতি দেখে আমাদের সহকর্মী ফারজানা ইসলামের নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম।’ 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন,‘শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার-নিপীড়ন করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। এজন্য তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসেছে। অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এখন আর উপাচার্য নন। তবে উনি আমাদের সহকর্মী। সেই জায়গা থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি।’

২০১৪ সালে অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম প্রথম মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পান। প্রথম মেয়াদ শেষ হলে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিকে আবারও তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। একই বছর ২ মার্চ তিনি দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জাগরণ/শিক্ষা/কেএপি