৮০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি, ১৮ হলেই ভোটার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০৮:১১ পিএম ৮০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি, ১৮ হলেই ভোটার
ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম -ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, এ বছর আগামী ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। চলবে ১৩ মে (সোমবার) পর্যন্ত। ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আর এবার ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগহের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাদের বয়স ১৬ হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর তাদের বয়স ১৮ বছর হলেই ভোটার হবেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান ইসি সচিব।

কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এ বছর আমাদের টার্গেট হলো ৮০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। আর তাদের বয়স এখনও ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এবার ভোটার তালিকায় হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন, সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪জন এবং রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র থাকবে ৭৮০ পয়েন্টে।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার না করলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেও বলে তিনি জানান।

সচিব বলেন, ২৫ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। কোনো কারণে তথ্য সংগ্রহের সময় কেউ যদি বাদ পড়েন, তবে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।

ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য কোনো বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সচিব বলেন, এ কারণেই ভোটার তালিকা হালনাগাদে ট্যাব ব্যবহার করতে চাই। কারণ এতে লোকেশনটা দেখা যায়। কোথায় অবস্থান করতেছে। যদি আমাদের কাছে নজরে আসে। ঢাকা শহরে বাড়ি বাড়ি যাওয়া ডিফিকাল্ট। কারণ মানুষ খুব একটা সহযোগিতা করতে চান না। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আমরা এ বিষয়ে অনেক বেশি সহযোগিতা পাই। ঢাকাতে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করবো, সেটা যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

বাড়ি বাড়ি যদি যেতে না পারে, তাহলে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে করবো কি না বা তাদের একটি নির্দিষ্ট সোসাইটি আছে, সেখানে ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে এনে তাদের ভোটার করা যায় কি না। এসব বিষয় আমরা বিবেচনা করবো যোগ করেন সচিব।

এইচএস/এসএমএম