জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন ভবনে লাগা আগুনে ইভিএমের ব্যালট ইউনিটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পয়েন্ট অব ফায়ার যেটা দেখলাম মেইনলি ক্যাবলের দিকে ফায়ারটা ছড়িয়েছে। এজন্য উপরের ক্যাবলগুলো পুড়েছে। এসিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যাবলের বক্সগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ইভিএমের ব্যালট ইউনিট, মনিটর, কন্ট্রোল ইউনিট যেভাবে আশঙ্কা করেছিলাম, সে তুলনায় ক্ষতিই হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগণ্য।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবন চত্বরে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তবে এটা আমরা বলবো যে, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য এবং টিম ওয়ার্কের জন্য এতো বড় একটা ক্ষতির হাত থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি।
রংপুরে ইভিএম ব্যবহারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের পর আমরা দেখব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম কোনোটা তিনদিন আগে এসেছে, এগুলো পর্যায়ক্রমে এসেছে। এখানে সাড়ে ৪ হাজার সেটের মতো ইভিএম রেখেছি। সেগুলো বিভিন্ন রুমে রয়েছে। যে রুমে আগুন লেগেছে সেই রুমে দুই মিটারের মধ্যে আমরা দেখলাম, কোনো কন্ট্রোল ইউনিট অথবা ব্যালট ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটুকু পানি দিয়ে নেভানোর কারণে। পানি যেহেতু স্প্রে করা হয়েছে, স্প্রে করার কারণে অতিরিক্ত পানিগুলো যাতে ব্যালট ইউনিটে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে কোনো কাগজপত্র ছিল না। যেখানে আগুন লেগেছে এবং তার পাশে যে রেডিয়াসটা প্লাস ক্যাবল পুড়েছে এবং পাশে এসিগুলো যে পুড়েছে এর পাশের এলাকা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারতেন কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পোড়ার তেমন কোনো কোয়েশ্চেন নাই।
দুই মিটারের মধ্যে আমরা খুলে দেখেছি কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পুড়ে নাই।
তবে পানির কারণে যাতে ব্যালটগুলো নষ্ট না হয়, এ জন্য আমরা কমিটি এখন সুপারিশগুলো কমিশনকে অবহিত করবো এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। যাতে আমাদের জাতীয় সম্পদগুলো নষ্ট না হয়।
যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে এক হাজারের মতো ইভিএম ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অত হবে না। আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেবো।
এইচএস/টিএফ