লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে 

শঙ্কামুক্ত এটিএম শামসুজ্জামান

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩, ২০১৯, ০১:৫৫ পিএম শঙ্কামুক্ত এটিএম শামসুজ্জামান

বর্ষিয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত। আজ শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১১টায় তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে। এমনটাই জানালেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক।

তিনি বলেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেলের অবস্থা এখন অনেকটাই উন্নতির দিকে।  তিনি আজ সকালে আমাকে দেখে হাসলেন, কথা বললেন, দোয়া চাইলেন। আজগর আলী হাসপাতালে তিনি এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। আমি তার সাথে তেমন কথা বাড়াইনি। শুধু বললাম, বাসায় ফেরেন তারপর কথা হবে। তিনি সবার কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয় চাইলেন।’ 

শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে এটিএম শামসুজ্জামানকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এর আগে একই হাসপাতালে গত ২৬ এপ্রিল ভর্তি হলে ২৭ এপ্রিল তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। তখন তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। ৭৮ বছর বয়সী এ অভিনেতা অধ্যাপক ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে আছেন।

বাধ্যর্কজনিত কারণে এটিএম শামসুজ্জামান নানা রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে তার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয় ফুসফুস সুরক্ষার জন্য। এখন তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হওয়ায় লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় বলে জানা যায়।

১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্য রচনা করেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের। এরপর এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য, কাহিনি ও সংলাপ রচনা করেছেন এ অভিনেতা। এরমধ্যে জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল চলচ্চিত্র উল্লেখযোগ্য।

১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি অসংখ্য নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন।

শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ বর্ষিয়ান অভিনেতা। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রের জন্য দুটি শাখায় পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এরপর চুড়িওয়ালা, মন বসে না পড়ার টেবিলে এবং চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

এসজে