দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন ছটকু আহমেদ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৪:৫১ পিএম দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন ছটকু আহমেদ

দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের বরেণ্য নির্মাতা ছটকু আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে বাম চোখের রেটিনায় ‘ম্যকুলার ডি জেনারেশন’ রোগে ভুগছেন তিনি। ২২ বছর আগে গ্লুকোমার কারণে ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন তিনি।
 
বর্তমানে বাম চোখের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসকরা তার অন্ধত্ব নিবারণের জন্য ৫টি ‘লুসেনটিস’ ইনজেকশন দেয়ার পরামর্শ দেন। এই ইনজেকশনের প্রতিটির মূল্য ১ লাখ টাকারও বেশি। চোখের সমস্যা ছাড়াও ছটকু আহমেদ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
 
চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো না থাকায় দীর্ঘ দিন যাবত কর্মহীন জীবন যাপন করছেন। যে কারণে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
 
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছটকু আহমেদ তিন শতাধিক মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন। যার মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে সত্য মিথ্যা, বাংলার বধু, লালু মাস্তান, পিতা মাতা সস্তান, ঘাতক ও চেতনা। তার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনায় নির্মিত হয়ে প্রশংসিত হয়েছে কামাল আহমেদের ‘অবুঝ সন্তান’, রাজ্জাকের ‘প্রেমশক্তি’, মোতালেব হোসনের ‘হিংসা’ ও ‘মিথ্যা অহংকার’, শামসুদ্দিন টগরের ‘জজ সাহেব’, মনোয়ার খোকনের ‘স্বামী কেন আসামী’ ও সোহানুর রহমান সোহানের ‘শান্তি চাই’ ইত্যাদি।

ছটকু আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- নাত বৌ, রাজদন্ড, গৃহবিবাদ, অত্যাচার, চেতনা, মায়া মমতা, সত্যের মৃত্যু নেই, বুকের ভিতর আগুন, মিথ্যার মৃত্যু, বুক ভরা ভালোবাসা, বর্ষা বাদল, শেষ যুদ্ধ, মহা তান্ডব, আজকের রূপবান, প্রতিবাদী মাস্টার।

এসজে