রাজধানীতে দীর্ঘ দিন প্রচন্ড গরমও তাপদাহের পর আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
দেশের মানুষের মধ্যে ফণীর ভীতি কাজ করছে। কিন্ত ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি হওয়ায় নগর জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে ফণীর আতঙ্ক কাটছে না মানুষের মধ্যে। ফণীর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নানা প্রস্ততি নিয়েছে।
ঢাকাসহ আশপাশের অনেক জেলায় বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীর নাম উল্লেখযোগ্য। আজ দিনভর থেমে থেমে এই বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরইমধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশেও পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ওদিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশার উপকূলে আজ শুক্রবার সকালে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম । ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাতের পর প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিএস