ভাইরাল পোস্টে বিভ্রান্তি

সাবধান! ‘কোভিড-১৯’ করোনার প্রতিষেধক নয়

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২০, ০৮:২১ পিএম সাবধান! ‘কোভিড-১৯’ করোনার প্রতিষেধক নয়

বিশ্বব্যাপী যখন করোনাভাইরাসের মহামারি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন, ঠিক সেই সময় এ বিষয়ে নানা অবান্তর ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মত ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে একদল অসচেতন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ।

সম্প্রতি কোভিড-১৯ আইজিএম/আইজিজি নামের একটি করোনা শনাক্তকারী টেস্ট কিট পাউচের ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে এটিকে বিশ্ববিখ্যাত ‘রচে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি’র উদ্ভাবিত ‘করোনা’র প্রতিষেধক বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

জানা যায়, প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রচার শুরু হলেও পরে এই অপপ্রচারকারী পোস্টটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিয়েও প্রমাণিত হয় এটি অপপ্রচার- দ্য টাইমস ফাক্ট অফিস

এই ভাইরাল পোস্টটি বাংলাদেশেও বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওয়ালে প্রচারিত হবার বিষয়টি নজরে পড়লে এর সত্যতা খতিয়ে দেখতে রচের বাংলাদেশ অফিস ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দৈনিক জাগরণ। আর সেখান থেকেই জানা যায় আসল তথ্য।

রচের যুক্তরাষ্ট্র অফিসের তথ্যসেবা বিভাগের সহায়তায় বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহৃত এই ছবিটি মূলত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ব্যবহৃত টেস্ট কিট পাউচের। তবে এর সঙ্গে রচের কোনও প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কোভিড-১৯ আইজিএম/আইজিজি নামের করোনা শনাক্তকারী এই টেস্ট কিট তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাজেনটেক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এটি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নয়।

রচে ফার্মাসিউটিক্যালস ও ফিসারটেকের যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকারী ডিভাইস এজি'স কোভা- ৬৮০০- সূত্র: রচে

এ যাবত করোনা শনাক্তকারী প্রযুক্তি হিসেবে সফলতম যে ডিভাইসটি অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণে রয়েছে সেটি হলো এজি’স কোভা ৬৮০০/৮৮০০। বিখ্যাত সুইস কোম্পানি রচে ফার্মাসিউটিক্যালসের সহপ্রতিষ্ঠান এজি ও প্রযুক্তিযন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফিসারস টেক যৌথভাবে এই ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেছে। বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রচের এই সাফল্যের পাশাপাশি করোনা প্রতিষেধক উদ্ভাবনেও নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা।

এসকে/এসএমএম