ভালো ঘুমেই সারবে জটিল রোগ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৩:৩৯ পিএম ভালো ঘুমেই সারবে জটিল রোগ

স্নায়ুজনিত নানা জটিল রোগে সমাধান মিলবে ভালো ঘুমে। নিয়মিত সময় ধরে ৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম দিন সেরে যাবে স্নায়ুজনিত যেকোনো রোগ, এমনটাই বলছেন একদল গবেষক।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্নায়ুর রোগের সমাধান হতে পারে শুধু ভালো করে ঘুমিয়েই। বয়সভেদে স্নায়ুঘটিত নানা উপসর্গ দেখা যায়। মাথাব্যথা থেকে শুরু করে এপিলেপ্সি বা খিচুনি, স্ট্রোক, কোমরের ব্যথা, ডিমেনশিয়া, মস্তিষ্কসহ নানা রোগ দেখা যায় বিভিন্ন বয়সে। এসব রোগ দূরে থাকবে ভালো ঘুমে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথাব্যথার তীব্রতা কেমন, কতদিন পর পর হচ্ছে, কত সময় থাকছে, এর সঙ্গে বমি, জ্বর, চোখে  দেখার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা কিংবা চারপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলোকে নজরে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে ঘুমেই হতে পারে এর সমাধান। অনেক সময় ঘুমের অভাবেও মাথাব্যথা হয়। সঙ্গে এই উপসর্গগুলো দেখা যায়। তবে যদি পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও মাথাব্যথা না কমে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে সমস্যাটি গুরুতর ও স্নায়ুজনিত। তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

স্মার্ট ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার অথবা হাত নাড়াচাড়ার কারণে কবজির নার্ভ অনেকক্ষেত্রে সংকুচিত হয়ে যায়। স্পাইনাল কর্ডেরও সমস্যা হতে পারে। ফলে ঘুমের সময় অন্তত মোবাইলের ব্যবহার একেবারে বন্ধ রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ঘুমের অন্তত আধ ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ সরিয়ে রাখুন। এতে ঘুমও ভালো হবে।

সাধারণত 'খিঁচুনি'কে বলা হয় এপিলেপ্সিকে। আবার অনেকে আছেন কথা বলতে বলতে আনমনা হয়ে যাচ্ছেন, মনের অজান্তে কিছু মুখভঙ্গিমা করছেন, অপরিচিত গন্ধ পাচ্ছেন কিংবা কোনও অবয়বের বিকৃতি দেখতে পাচ্ছেন এগুলোও স্নায়বিক রোগ। যা সমাধান মিলবে ভালো ঘুমে। ঘুম কম হলে একসময় মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখন মনোচিকিতসকরে শরণাপন্ন হতে হয় আমাদের। কিন্তু সমাধান পাওয়ার সময়টা দীর্ঘ হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই।

নার্ভের সমস্যাও স্নায়ুবিক। এ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে যায় অনেকের। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিতসকের পরামর্শ নিন। ওষুধের পাশাপাশি গভীর ঘুমও নিশ্চিত করুন। স্নায়ুতে এর প্রভাব পড়ে এবং নার্ভের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।

চিকিতসকরা বলেন, স্নায়ুর অনেক জটিল রোগ সৃষ্টি হয় শুধু গভীর ঘুমের অভাবেই। এক্ষেত্রে ঘুমের ধরন বুঝে অর্থাৎ কতটা সময় ঘুমালে পর্যাপ্ত ঘুম হবে আপনার, তা মেনেই নিজেকে সময় দিন। ভালো করে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। নিজেও ঘুমান, প্রিয়জনকেও ঘুমোতে দিন।