শ্রীলঙ্কায় চলছে কারফিউ, সোশাল মিডিয়া বন্ধ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৯, ১১:২০ এএম শ্রীলঙ্কায় চলছে কারফিউ, সোশাল মিডিয়া বন্ধ

 

গির্জা, পাঁচতারা হোটেলসহ আটটি জায়গায় বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কাজুড়ে জারি করা কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হলেও, কার্যত বলবত রয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ‌‘পরবর্তী নির্দেশ’ আসা পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) নিউজ ফার্স্ট ডট লংকা জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা (সোমবার) পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি আজ সোম ও মঙ্গলবার (২১ ও ২২ এপ্রিল) সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটিতে লোকজন পথে খুব একটা বের হননি। পথে পথে নিরাপত্তা বাহিনী টহল চলছে। বিশেষ বিশেষ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রাভন বিজয়বর্ধনে কলম্বোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারির এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।” কারফিউ জারির পাশাপাশি গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে সেখানে ফেইসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোও বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া চলছে।  

রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে কলম্বোর কোচচিকাদে এলাকার সেইন্ট অ্যান্থনির চার্চ, কাটুয়াপিতিয়ার সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের চার্চ এবং বাত্তিকালোয়ার জিয়ন গির্জায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। কাছাকাছি সময়ে বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানী কলম্বোর শাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবুরি হোটেলেও। এরপর দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় চিড়িয়াখানার কাছে দেহিওয়ালা হোটেলে সপ্তম এবং দেমাটাগোদা এলাকায় অষ্টম বিস্ফোরণটি ঘটে বলে কলম্বো পুলিশ জানায়।

এসব সঘটনায় সব মিলিয়ে অন্তত ২৯০ জন মানুষ নিহত এবং চার শতাধিক আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল ও পুলিশের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসেবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড