সংঘাত ও সহিংসতার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণ পর্বে অসন্তোষ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তাদের পাশাপাশি একই অভিযোগ সিপিআইয়েরও। এছাড়া কংগ্রেসও অভিযোগ করেছে ভোট জালিয়াতির। সোমবার (২০ মে) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ শেষ দফা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ দফায় মোদি ছাড়াও অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এইচ কে বাদল এবং হরদীপ সিং পুরি। এছাড়া ভাগ্য নির্ধারণ হবে কিরণ খের, সানি দেওল, রবি কিষাণের মতো বিজেপি’র তারকা প্রার্থীদের।
বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ডায়মন্ড হার্বার, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, জাদাভপুর, বশিরহাট, মাথুরপুর এবং জয়নগরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এসব এলাকায় সুষ্ঠভাবে ভটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। এ সকল হামলার জন্য তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের দায়ি করেন। এ সময় কয়েকটি কেন্দ্রে পুনঃভোটগ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়ভার্গিয়া বলেন, তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয় থেকে সহিংসতা করছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রেসিডেন্ট দিলীপ ঘোষ বলেন, তারা জয়ের ব্যাপারে এত নিশ্চিত হয়ে থাকলে ভোটারদের কেন বাধা দিচ্ছে?
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায়, পশ্চিমবঙ্গে যেন সশস্ত্র পুলিশের উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়।
এদিকে সহিংসতার জন্য তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলকেই দায়ী করেছে সিপিআই। এক বিবৃতিতে অমিত মিসরা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের আবেদন জানাই। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোসেন মিত্রও ভোটকেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন।
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে প্রকাশিত দুই বুথফেরত জরিপে আবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষমতায় আসার আভাস পাওয়া গেছে। রিপাবলিক সি-ভোটার ও টাইমস নাও-ভিএমআর প্রকাশিত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, প্রায় তিনশ’র কাছাকাছি আসন নিয়ে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
এনডিটিভি
এসকে