ইউনিভার্সিটি অব ঘানা থেকে `বর্ণবাদী` গান্ধীর ভাস্কর্য অপসারণ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮, ০২:৪৩ পিএম ইউনিভার্সিটি অব ঘানা থেকে `বর্ণবাদী` গান্ধীর ভাস্কর্য অপসারণ
মুর্তি অপসারণ করা হচ্ছে

 

ইউনিভার্সিটি অব ঘানার চত্বর থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়ে কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন। তবে প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং কিছু শিক্ষক ক্যাম্পাসে গান্ধীর মূর্তি মেনে নিতে পারেননি। এর বিরুদ্ধে তারা পিটিশনও করেন।

পিটিশনে বলা হয়, গান্ধী ছিলেন বর্ণবাদী। তার মূর্তি সড়িয়ে আফ্রিকার কোনো নেতার মূর্তি বসানোর দাবি চলতেই থাকে। চাপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষ চাপায় ঘানার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা বলেন, সরকার এই মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। জোরালো আন্দোলনের মুখে ঘানার সরকার গান্ধীর মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার দাবি মেনে নেয়।

আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তব্য, গান্ধী ছিলেন একজন বর্ণবাদী। তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের ছোটো চোখে দেখতেন, হেয় করতেন। ক্যাম্পাসে গান্ধীর মূর্তি স্থাপনের অর্থ, তার বিশ্বাস বা মতবাদকে সমর্থন করা। কিন্তু এমন বর্ণবাদ বিশ্বাসী কারো মূর্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না।

উল্লেখ্য, জীবনের প্রথমদিকের কিছু লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের অত্যন্ত অপমানজনক বর্ণাবাদি ডাক ‘কাফির’ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় ভারতীয়দের উচ্চতর জাতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন গান্ধি।      সূত্র- বিবিসি

এসজেড/এস_খান