‘প্রেসিডেন্টের অসম্মানজনক বিদায়’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন কার্যকর

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৪:৪২ এএম ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন কার্যকর

ইতিহাসের প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার অভিশংসনের মুখে পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন, বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তার এই অভিশংসনকে ‘অসম্মানজনক বিদায়’ আখ্যা দেয়া হচ্ছে। কেননা ক্ষমতায় থাকাকালীন দুইবার অভিশংসন কিংবা ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে অবাঞ্ছিত হওয়ার নজির যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন প্রেসিডেন্টের নেই।

সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের অধিবেশনে ‘সমর্থকদের উস্কানি দেয়ার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি’র অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের অভিশংসনের ডাক দেয় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট। এতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে খোদ রিপাবলিকান পার্টিরও সমর্থন মেলে। ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিসহ ১০ জন রিপাবলিকান এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এ ভোট গণনা শেষ হয়। এসময় ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ২৩২ ভোট পড়ে। আর ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেন ১৯৭ জন সিনেটর। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নিশ্চিত হয়ে যায় প্রেসিডেন্টের অভিশংসন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী নিম্নকক্ষের ‘অভিশংসন’ কোন প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত না করলেও, তাকে পার্লামেন্টে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। যা অনেকটা ‘আংশিক ক্ষমতাচ্যুত’ হবার মতোই অপমানজনক। তাই অভিশংসন নিশ্চিত হওয়ায় এ মুহূর্তে ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে’ বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না ট্রাম্প। অর্থাৎ হোয়াইট হাউজে তাঁর কর্তৃত্ব এখন অনেকটাই সীমিত।

অভিশংসনের ফলে ক্ষমতা সীমিত হওয়ায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের সুযোগ পাবে কংগ্রেস। এরপর কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষেও অভিশংসনের প্রস্তাব তোলা হতে পারে। সেখানেও দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন এলে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ভবিষ্যতে আর কখনও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না তিনি।

৬ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানের সময় ওয়াশিংটনে আন্দোলনরত ভক্তদের উস্কে দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে ‘প্রেসিডেন্ট পদ’ ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে পার্লামেন্টে সশস্ত্র হামলার চালায় সমর্থকরা। এসময় সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়। এরপরই দ্বিতীয় দফা ট্রাম্পের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেন সিনেটররা। 

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে ট্রাম্প রাশিয়ার সাহায্য নিয়েছেন - এমন অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালেও ট্রাম্পের অভিশংসন কার্যকর হয়। যদিও তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।