উইঘুর নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম উইঘুর নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধ

কিছুদিন আগেই উইঘুর নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ বলে মন্তব্য করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। ফলশ্রুতিতে এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চায়না। এ সিদ্ধান্তকে নিরর্থক এবং বিদ্বেষমূলক বলে মন্তব্য করেছে নবগঠিত মার্কিন প্রশাসন।

উইঘুর ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের মন্তব্যকে “চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা” বলে মনে করেছে বেইজিং। ফলে পম্পেওসহ ২৮ জন কর্মকর্তাকে চীন এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই তালিকায় ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন এবং জাতিসংঘ প্রতিনিধি কেলি ক্রাফটও আছেন। 

এক বিবৃতিতে বেইজিং জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে।

চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র হুয়া চুনইং এই বিষয়ে বলেন, “বিগত চার বছরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর প্রধান কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের ভুল কৌশল। তারা চীনকে প্রতিযোগী ভেবে সকল ক্ষেত্রে অসম্মান এবং ছোট করেছে। নতুন প্রশাসনের উচিত জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে পারস্পারিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা। তাহলেই দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকবে।” 

তবে এ নিষেধাজ্ঞা দুদেশের সম্পর্কের পথে বাধা বলেই মনে করছে বাইডেন প্রশাসন।