সেনাবাহিনীর ধরপাকড় আর নির্যাতন থেকে বাঁচতে সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও থাইল্যান্ড পালাচ্ছে মিয়ানমারের শরণার্থীরা। রোববার (৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গত দুই মাসে কয়েক হাজার শরণার্থী প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ সীমান্তে এসব আশ্রয়প্রার্থীদের ঢল ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।
সেনাবাহিনীর অত্যাচার বাড়তে থাকলে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছে ব্যাংকক ও নয়াদিল্লী। এ বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে সেনাবাহিনী গণহত্যা আর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা। পরে তাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হলেও সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
অতিরিক্ত শরণার্থীর ঢল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ও-চা বলেন, “আপাতত আমরা আশ্রয়প্রার্থীদের কয়েকটি ক্যাম্পে জায়গা দিয়েছি। কিন্তু সবাইকে আমাদের দেশে অবাধে প্রবেশ করতে দিতে পারি না আমরা। মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে যতটুকু সহায়তা করা সম্ভব সেটা আমরা করবো।”
এর আগে ভারতের মণিপুর রাজ্য শরণার্থীদের দেশে প্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানায়। শুরুতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধের পরিকল্পনা নেয়া হলেও পরে সেটি স্থগিত করা হয়।