ঢাকা ওয়াসার কোনো কোনো এলাকার পানিতে মলের অস্তিত্ব পাওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে. বি. এম. হাসানের নেতৃত্বে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আজ রোববার এই আদেশ দেয়।
আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রতিবেদন চায় আদালত।
জমা দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত ৮টি নমুনার পানিতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এইসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাবি অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে দূষণের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
গত বছর ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে গত ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এমএ/আরআই
