কারাগারে আইনজীবীর মৃত্যু: ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯, ১২:৪৪ পিএম কারাগারে আইনজীবীর মৃত্যু: ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

পঞ্চগড় জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত  আদেশ দেয়।

আদেশে কারাগারের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইজি প্রিজনকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।         

এর আগে ৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি প্রিজন, পঞ্চগড় কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য গত ২৫ মার্চ দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার বিরুদ্ধে কোহিনুর কেমিকেল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনশন শুরু করেন পলাশ কুমার রায়। পরে সেখান থেকে উঠে তারা জেলা শহরের শের-ই-বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে এসে মানববন্ধন শুরু করেন।

অভিযোগ আছে, একপর্যায়ে রাস্তা বন্ধ করে হ্যান্ডমাইকের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কটুক্তি করেন পলাশ। এছাড়া প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী সম্পর্কেও অশালীন বক্তব্য দেন। ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। একইদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার অভিযোগে স্থানীয় রাজিব রানা নামে এক যুবক তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এরপর সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আইনজীবী পলাশকে গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সকালে হঠাৎ হাসপাতালের বাইরে থাকা একটি টয়লেট থেকে তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দৌঁড়ে বের হন। এ সময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে এবং শরীরের আগুন নেভান। আগুনে তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এমএ/টিএফ 

আরও সংবাদ