বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে লিগ্যাল কাউন্সেলের ওয়েবিনার

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১, ০৮:৪২ পিএম বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে লিগ্যাল কাউন্সেলের ওয়েবিনার

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপন ও মেধাসম্পদ সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি বুকলেট প্রকাশনার উদ্দেশ্যে সোমবার একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে স্বনামধন্য ল’ ফার্ম লিগ্যাল কাউন্সেল।

আইনি জ্ঞান প্রচারের প্রচেষ্টায় মেধাসম্পদ সংক্রান্ত এই বুকলেটটি লিগ্যাল কাউন্সেল প্রকাশিত ‘কোয়েস্ট’ নামক প্রকাশনা সিরিজের প্রথম বুকলেট। এতে বিভিন্ন ধরনের মেধাসম্পদ যথা ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের বিবরণ উদাহরণসহ তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সুরক্ষার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন (নিবন্ধনের পূর্বে করণীয়, পরবর্তী ব্যবস্থাপনা), আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়সমূহ ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ওয়ার্ল্ড আই পি অর্গানাইজেশন কর্তৃক বিশ্বব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে লিগ্যাল কাউন্সেলের এই আয়োজন স্থান পেয়েছে।

লিগ্যাল কাউন্সেলের হেড অফ চেম্বার্স ব্যারিস্টার ওমর এইচ খানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিসেস উইনি এস্ত্রুপ পিটারসন। আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ আসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি আলমাস কবির, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো, সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাদিয়া সামদানি।

এছাড়া ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহরিন আমান, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, ইউনিলিভারের বিভাগীয় প্রধান নাবিলা জে খান এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী সাধারণ উপদেষ্টা মনজু এন রায় প্রমুখ।

বক্তারা মেধাসম্পদের গুরুত্ব, প্রচলন, যথাযথ আইনি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নিজ নিজ সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের মেধাসম্পদের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর মতো ভবিষ্যতে মেধাসম্পদ বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যবসার স্থাবর সম্পদের চেয়ে বেশি মূল্যবান হয়ে উঠবে—এ ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন।

ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান বলেন, “লিগ্যাল কাউন্সেল সর্বদাই আইনগত তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”