সামিয়া রহমানের পদাবনতি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০৩:৫৬ পিএম সামিয়া রহমানের পদাবনতি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
সামিয়া রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথি ২১ দিনের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সামিয়া রহমানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মেলায় গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের পদাবনতি করে ‘সহকারী অধ্যাপক’ করা হয়।

একইসঙ্গে তার গবেষণা সহযোগী অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকেও দুই বছর একই পদে থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সামিয়া রহমান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।

এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে।

জাগরণ/এমএ