স্বাধীনতা দিবসে হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম স্বাধীনতা দিবসে হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় লড়ছে দলগুলো - ছবি : জাগরণ

রাজধানীতে হয়ে গেল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে হাতিরঝিলে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশেন। 

প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। হাতিরঝিল লেকে আয়োজিত এই নৌকা বাইচে মোট ১১টি পুরুষ দল ও ৪টি মহিলা দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের সভাপতি  ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছার। 

বেলুন উড়িয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম - ছবি : জাগরণ 

অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন , ‘আসুন সকলে মিলে বাঙালিয়ানাকে আবার উজ্জীবিত করি। আমরা চাই নির্ভেজাল বাঙালিত্ব। আমাদের হাজার বছরের যে ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্যের বাঙালি সংস্কৃতি, চাল-চলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-অনুষ্ঠান সবকিছুকে আমরা ধরে রাখতে চাই। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রোইং ফেডারেশনকে দাবীকৃত একটি সুন্দর স্পট হাতিরঝিলে করে দেয়া হবে।’  
 
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাঙালির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য টিকে থাকুক। আমরা চাই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এসে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে যেন ধ্বংস করতে না পারে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চান বাঙালির বাঙালিত্ব টিকে থাকতে হবে। এরপর আমরা অন্য সংস্কৃতি যা কিছু ভালো সেটা অমরা গ্রহণ করবো। কিন্তু আমাদের যাত্রাগান, ভাটিয়ালী, জারী গান, কবি গান, নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট-এ সংস্কৃতিগুলো রক্ষা করতে না পারলে আমাদের বাঙালিত্বই হারিয়ে যাবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে করেন এগুলোকে লালন-পালন করতে হবে, ধারণ করতে হবে। আমাদের সকলের বাঙালিয়ানাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব রয়েছে।’

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন শ. ম. রেজাউল করিম - ছবি : জাগরণ 

সবশেষে মন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির অন্যতম হলো নৌকা বাইচ। গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নৌকা বাইচ বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি পর্ব। নৌকা বাইচ বাঙালিদের আলাদা আনন্দ দেয় এবং বাঙালির স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই নৌকা বাইচ বিলুপ্ত হবার পথে। আমি আনন্দিত যে, বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন নৌকা বাইচের ধারাকে ধরে রেখেছে এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এই জাতীয় কর্মকাণ্ডে পাঠাচ্ছে। এ জন্য আমরা বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

এএইচএস/এসএইচএস