সুখী হওয়ার রহস্যটা কী?

ইশতিয়াক হোসেন প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১, ১১:২২ এএম সুখী হওয়ার রহস্যটা কী?

সুখী হওয়ার রহস্যটা কী? সবার এ প্রশ্ন থাকলেও উত্তর জানা আছে কয়জনের। বেঁচে থাকার সংগ্রামে সুখী  থাকার আকাঙ্ক্ষা বিলাসিতা হতে পারে। তবু জীবনে একটিবার সুখী হওয়ার চিন্তা করেছেন কি? এই প্রশ্নেই কিন্তু লুকিয়ে আছে সুখী হওয়ার কার্যকরী কৌশল। হ্যাঁ, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা। চলুন ঝটপট জেনে নিই ইতিবাচক চিন্তাভাবনার পদ্ধতি।

নিশ্চয়তা

দিন শুরু হোক নিশ্চিন্ত মনে। নিজেকে বলুন আজ দিনটি ভালো যাবে, আজ আমি সফল হব। নেতিবাচক মনোভাবকে এড়িয়ে আপন উৎসাহে শুরু হোক ইতিবাচক পথচলা।

ছোট ছোট ভালোলাগা

সময় জিনিসটা কিন্তু বেরসিক। সে আপনার মন ভালো খারাপের ধার ধারে না। সময়ের ঝুট ঝামেলায় ভালো লাগা খুজুন। পছন্দের কিছু পেলেন না, তা নিয়ে মন খারাপ করা চলবে না। অন্য কিছুতে  মনোযোগী হোন। যেমন,পছন্দের খাবারটি দোকানে পেলেন না। দেখুন না অন্য আইটেম ভালো লাগে কি না।

দুঃসময়ে আনন্দযোগ

সুসময় ও দুঃসময় একে অপরের নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিন চলার পথের জটিলতার মধ্যেই ইতিবাচক চিন্তাভাবনার চর্চা করুন। যানজটে বসে থাকার সময় পছন্দের গানটি শুনুন।

ভুল থেকে শিক্ষা

যেকোনো চেষ্টায় সফলতার আগে থাকতে পারে ব্যর্থতা। কথায় বলে ব্যর্থতা নিয়ে পরে থাকা বোকা মানুষের লক্ষণ। কাজেই ব্যর্থতাকে পুঁজি করে গড়ে তুলুন আপনার সফলতার মন্ত্র।

আত্মসম্মান

হতাশা, বিফলতা সব সফল মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে খুঁজে পাওয়া যায়। ব্যর্থতার হতাশায় নিজেকে নিচু জ্ঞান করা ছাড়ুন। বারবার চেষ্টা করুন, সফলতা আপনার একাগ্রতার জালে ধরা পরবে।

বর্তমান উপস্থিতি

অধিকাংশ নেতিবাচকতার উদ্রেগ হয় অতীতের খারাপ স্মৃতি থেকে। মনকে অতীত থেকে সরিয়ে বর্তমান সময়টি উপভোগ করুন। হতে পারে বাসায় কিংবা পথে।

উৎসাহী সঙ্গ

সব চেষ্টাই করলেন, তারপরও বেয়ারা মন অতীতের ব্যর্থতা ও অজানা অনিশ্চয়তার চোরাবালি থেকে বের হয় না। দেখুন তো আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে সফল ও সুখী সঙ্গী আছে কিনা। একজন সফল মানুষের চিন্তা ভাবনা কথা ও কাজ ইতিবাচক হয়। এমন সব বন্ধুসঙ্গে ইতিবাচকতার চর্চা চালিয়ে যান।

সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দ মুহূর্তের মধ্যেই সন্তুষ্টি। দুর্ভাগ্যজনক যে সুখ প্রায়শই অধরা থাকে৷ মন অনেক অবিচ্ছিন্ন নেতিবাচক আবেগের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এই বিভীষিকার শৃঙ্খলা ইতিবাচক চিন্তাভাবনার আঘাতে ভেঙে দিয়ে জীবন আনন্দ ও সুখের বন্যায় ভাসিয়ে তুলুন।