যেভাবে এলো ইস্ত্রি মেশিন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২১, ১১:৩৯ এএম যেভাবে এলো ইস্ত্রি মেশিন

পরিপাটি পোশাক মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি প্রকাশ করে তার ব্যক্তিত্ব। অন্যের সামনে আত্মবিশ্বাসীও করে তোলে কয়েকগুণ। তাইতো অফিস কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে নিজের পরিধানের পোশাকটি আয়রনের মাধ্যমে মসৃণ করে নেন বেশিরভাগ মানুষ।

আগে জামাকাপড় আয়রন করতে লন্ড্রি দোকানে যেতে হলেও এখন বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই সেটি করে ফেলেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি মেশিন। কিন্তু যখন কাপড় মসৃণ করার প্রচলন শুরু হয় তখন বিদ্যুৎই ছিল না। কয়লা দিয়ে করা হতো জামাকাপড় আয়রন। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে শুরু হয় ইস্ত্রির প্রচলন।

কাপড় মসৃণ করার প্রচালন শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে। তখন চীনে ধাতব পাত্রে জ্বলন্ত কাঠকয়লা ব্যবহার করে কাপড় আয়রন করা হতো। কয়লার আগুন যাতে নিভে না যায় এই জন্য ক্রমাগত করা হতো বাতাস। ওই ইস্ত্রির আকারও ছিল বড় এবং অন্যরকম।

বর্তমানের যে ‘ব’ আকৃতির লোহার সমতল ইস্ত্রি আমরা দেখি সেটি আসে মূলত সপ্তদশ শতাব্দীতে। এরপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৮৮২ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি তৈরি করেন হেনরি ডব্লিউ সিল নামের যুক্তরাষ্ট্রের এক বিজ্ঞানী। কিন্তু তার উদ্ভাবিত বৈদ্যুতিক আয়রন মেশিনটি ওজন ছিল প্রায় ১৫ পাউন্ড। ইস্ত্রিটি গরম হতেও সময় নিতো বেশি।

তবে সিলের এই উদ্ভাবনের পর শুরু হয় আয়রন মেশিনকে আরো আধুনিক ও ব্যবহার উপযোগীকরণ। বর্তমানে ইস্ত্রির এই সহজলভ্যতা তারই সুফল।