ভয়
কোনো কিছু মনে না-করলে, ভুলে যান
নতুন করে শুরু করুন
মনে রাখবেন, সূর্য কখনো ওঠে না
না-অস্ত যায়, না-উদিত হয়
আমরা জেনেবুঝে ভুল করি
সূর্য চিরউদিত, অম্লান
পোড়ায় নিজেকে;
আপনি পুড়তে ভয় পান
তাই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন
সূর্য উঠবে, নেশায় মশগুল!
দুঃখ করো না
হতে পারে
আমি
আমরা
ক্লান্ত
পরিশ্রান্ত
মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছি না,
তাই বলে ফুরিয়ে যাইনি...
ক্রাইস্টচার্চ ২০১৯
শয়তানেরা জীবিত খুঁজছিল
মৃত্যু নিশ্চিত করতে,
আর
আমরা অপেক্ষা করছিলাম, প্রার্থনা
দ্রুত তার গুলি যেন শেষ হয়ে যায়...
অস্তিত্ব ও টিকটিকি
আমি বেঁচে আছি
এই উপলব্ধিটাই সব থেকে বড় কথা
বেঁচে থাকার অর্থই হলো নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম
অযৌক্তিক অকারণ বাধার বিরুদ্ধে লড়াই।
মানুষের যা-কিছু মহৎ—যা-কিছু একান্ত প্রিয়
যুদ্ধের বর্বরতা মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দেয়
তাহলে আমরা বেঁচে আছি কেন?
সংসারে আমাদের এই অস্তিত্বের, এই বেঁচে থাকার কী অর্থ?
পৃথিবীতে যদি মানুষ না থাকত
তাহলে কার কী ক্ষতি হতো?
মানুষের জীবন জটিল
এও চিন্তার খোরাক জোগায়!
সমাজ, সংসার, পারিবারিক মর্যাদা
সবকিছুই কি মানছে মানুষ?
মানুষের সৌন্দর্য বাইরে নয়
আর অন্তর সুন্দর হলে তার ছাপ পড়বেই বাইরে।
ঈশ্বরলাভের জন্য সাধারণ মানুষের যে-চেষ্টা
তা বরাবরই একটা চেষ্টামাত্র
তার বেশি কিছু নয়।
যুদ্ধ ও প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো কিছুই অন্যায় নয়
সত্যিই কি তা মানা যায়?
এমন কিছুই এ পৃথিবীতে নেই
যা মানুষের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে…
ভাবছি, ‘হিংসে’ এই শব্দটার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো সত্যি আছে।
বন্দিজীবনে নাগরিক-মানবিক কোনো অধিকারই থাকে না
এমনকী পরস্পর কথা বলার সম্পর্কটুকুও,
মানুষের রয়েছে প্রচণ্ড সহ্যশক্তি
না বাঁচলেই যেন নয়…
মানুষ ও পশুর মধ্যে একটিই পার্থক্য আছে
ইচ্ছে করলে মানুষ তার জীবনকে শেষ করে দিতে পারে
পশু তা পারে না, হয়তো-বা
হৃদয়ের গোপন কুঠুরি থেকে আজ কথাগুলো যেন বেরিয়ে আসছে…
অথচ হৃদয় একটা শরীরী দরজা যেটা বন্ধ হয়
একটা ফাঁস যেটা শক্ত হয়
কুড়ুল একটা, যেটা আঘাতও করে।