শারদীয় পঙক্তিমালা

কাজী নুসরাত শরমীনের কবিতা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০১৯, ০৭:২৯ পিএম কাজী নুসরাত শরমীনের কবিতা

শরৎ-গাঁথা

বছর ঘুরে শরৎ এলো
শিউলি-শিরিষ মাখা।
পুজোর ঢাকে পড়লো কাঠি
মনটা মেঘে ঢাকা।

টিপ, কুমকুম, আলতা, শাড়ি
বায়না কতো শত
তোমার সাথেই কিনতে হবে
স্বপ্ন আছে যত।

এবার যখন আবার এলো
সন্ধিপুজোর ক্ষণ,
কর্পূরেরই গন্ধমাখা
পুজোর আয়োজন।

মনপাহাড়ের ওপার থেকে
অবিরত ডাকো
শুনতে যে পাই, হাতটা বাড়াই
আড়াল করে থাকো।

স্মৃতির সুতোয় কাটা ঘুড়ি
কোন সুদূরে শেষ
পথের রেখা মুছে দিয়ে
হও যে নিরুদ্দেশ।

ধুপের মাঝেই তোমার গন্ধ
শিশিরভেজা ভোর
খোঁপায় গোঁজা শিউলিমালায়
দুঃখ ঘনঘোর।

নীল শাড়ীটা পরলে দেখি
হৃদয় জুড়ে আঁকা
না থাকারই মাঝে তোমার
আাকাশ জুড়ে থাকা........

সারাংশ

মরণ হয়েছে আজ, ঘুমের ভেতর... নিশ্চল নিশ্চুপ,
বিপদ সংকেত তোয়াক্কা না করা বেপরোয়া জেলে
যেমন পায় না খবর জলোচ্ছ্বাসের, তেমনি পৃথিবীও 
জানলো না পেলো না টের, যাচ্ছি, ধীর মন্থর পায়ে...
গন্তব্য না জেনে বুঝে, নক্ষত্র মোহনায়

বুকের মলাটে এক ছিলো উত্তাল সমুদ্র 
সেখানেও উঠতো ঝড়, ছিন্নভিন্ন মালাটখানি 
ঠিক সয়েবয়ে নিতো তাণ্ডব, জলজ আর্দ্র....

পাহাড়ের প্রশান্তি নিয়ে চোখ বুঁজতেই
মনগ্রুপের রক্তে, শিরা উপশিরায় তীব্র বেগে 
দৌঁড়াতো সবুজ, একটা অবুঝ জীবন, দুঃসহ তার ভার,
জেঁকে বসলো সেদিন মনের ভেতর হয়ে পাহাড়।

আদিগন্ত মাঠ ছিলো এক, জানো!
কংক্রিটের আধিপত্য পেরেক ঠুকেছে রোজ
দুঃখেরা সব জোট বেঁধেছে অনন্ত মেঘেরি দল
আকাশজুড়ে চিল শকুনের ওড়াওড়ি.......

এই সমস্ত স্বপ্ন, আজন্ম জমিয়ে তোলা ভার
শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে, গুঁজে ঘাড়
যাচ্ছি, ধীর পায়ে পায়ে হায়
না জেনে বুঝে তাকে,নক্ষত্র মোহনায়।