ভূমি অধিগ্রহণ

‘৭ ধারার নোটিশ জারির পর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম ‘৭ ধারার নোটিশ জারির পর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না’
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী - ছবি : জাগরণ

‘ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৭ ধারার নোটিশ জারির পর প্রায়ই মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠপর্যায়ে অসাধু চক্র যোগসাজস করে আরেকজনকে দিয়ে টাইটেল মামলা করায়। ৩ এবং ৪ ধারার নোটিশ জারি করার পরই কেবল শেষবারের মতো ৭ ধারার নোটিশ জারি করা হয়। সুতরাং, জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ৭ ধারার নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। শিগগিরই এ সংক্তান্ত পরিপত্র জারি হতে যাচ্ছে।’ 

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত ভূমি জরিপ ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় অধিকতর গতিশীলতা আনতে ‘ভূমি জরিপ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক একদিনের কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। 

ভূমিমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যে ১ কোটি ৪৬ লাখ খতিয়ান ওয়েবসাইটে আপলোড দেয়া হয়েছে, সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সঙ্গে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন, অনাবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ল্যান্ড ব্যাংক করার বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন। এগুলো মূলত পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের ভেতর নেয়ার পর্যায়ক্রমিক ধাপ। 

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আলীম আখতার খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী। আলোচনায় অংশ নেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রাক্তন পরিচালক ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নাজেম। এসময় ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/ এফসি