‘দুর্নীতি শব্দটি বলিনি’

‘চুনোপুঁটি ধরা যতটা সোজা বটগাছ ধরা ততটাই কঠিন’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০১:৫৮ পিএম ‘চুনোপুঁটি ধরা যতটা সোজা বটগাছ ধরা ততটাই কঠিন’
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন দুদক চেয়ারম্যান।

প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি আছে স্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, চুনোপুঁটি ধরা যতটা সোজা বটগাছ ধরা ততটাই কঠিন। আজ শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘স্বীকার করতে সমস্যা নাই, এমন কোনো নথি নাই যেগুলোর মধ্যে কিছু না কিছু সমস্যা নাই। কেউ আমাদের আইন মানছে না, টাইম টেবিল মানছে না। আমাদের আস্থার সংকট রয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুইটা দৌড়, সরকারের কাছে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া, অন্যটি বিচার বিভাগের কাছে সোপর্দ করা। আমাদের ধরা বা মামলা ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্টই চুনোপুটি অর্থাৎ ছোট। চুনোপুটি ধরা যতটা সোজা বটগাছ ধরা ততটাই কঠিন। তার মানে আমরা রুই কাতলা ও বড় দুর্নীতিবাজদের ধরবো না, তা নয়। মানি লন্ডারিংয়ের ২শ’ মামলার মধ্যে ২২টি শেষ হয়েছে। এই ২২টিরই সাজা হয়েছে।

এ সময় 'সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি’র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ওইদিন এক প্রশ্নের জবাবে আমি সরল বিশ্বাসের কথাটি বলেছিলাম। কিন্তু সেখানে আমি ‘দুর্নীতি' শব্দটিই উচ্চারণ করিনি। শব্দটি কোত্থেকে আসলো, জানি না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গগণমাধ্যমের কাছে থাকা এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ দেখার আহ্বানও জানান।         

তিনি বলেন, ‘সেদিন এক প্রশ্নের জবাবে আমার উত্তর ছিল খুবই সহজ। সেখানে দুর্নীতির কোনো শব্দ আমি উচ্চারণ করিনি। এই শব্দ কিভাবে আসলো তা আমার জানা নেই। ভিডিও ক্লিপ সবার কাছেই আছে। এ বিষয়ে আর কোনো ব্যাখ্যা দিতে চাই না।’ দুদকের অনেক আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তবে একটি বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে যে দুর্নীতি করলে কিছু না কিছু হতে পারে, হবে।

এমএ/আরআই