সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান করে টাস্কফোর্স  

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯, ০৭:৪৪ পিএম সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান করে টাস্কফোর্স   
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা - ছবি: জাগরণ

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১১১ দফা করা সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে প্রধান করে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সেতু ভবনে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে প্রধান করে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো.নজরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।’

তিনি জানান, পুলিশের আইজিপি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ, ডিএমপি কমিশনার, উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী, বিআরটিএ ও বিআরটিসির প্রধান প্রকৌশলী, বিআরটিএ/বিআরটিসির চেয়ারম্যান, ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক, পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি, ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধি,মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি, মো.শামসুল হক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিশচা) সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, হাইওয়ে পুলিশ মহা পরিদর্শক, ব্র্যাক এর প্রতিনিধিরা টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ একাব্বর হোসেন, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতি সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, কলামিষ্ট ও গবেষক আবুল মকসুদ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিউর রহমানসহ জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে, আমাদের সড়ক পরিবহন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের দাবি অনুযায়ী করণীয় আমরা সুনির্দিষ্ট করেছি। আমরা সড়ক পরিবহনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে আরও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এনাউন্স করবো। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো।’

বৈঠকে সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে রাজউক ও বিআরটিএকে সংযোজন করতে হবে। স্কুল কলেজ বিশেষ করে ভিকারুন্নিসা, স্কলাস্টিকারের মতো স্কুলেরও পার্কিং ব্যবস্থা নেই। যত্রতত্র পার্টি সেন্টার গড়ে উঠছে সেখানেও পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয় না। 
‘আমি বলবো পার্কিং এর জায়গা ছাড়া যাতে কোনো স্থাপনা করার অনুমোদন দেয়া না হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এর কোনো বিকল্প নেই।’

সভায় ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলার প্রথম সমস্যা হচ্ছে নিয়ম না মানার সংস্কৃতি। প্রতিবছর ৬০ কোটি টাকার মত জরিমানা আদায় হয়। পুলিশ সেবা খাত খেকে এখন রাজস্ব খাতের দিকে যাচ্ছে। বারবার জরিমানা করার পরও নিয়ম মানছে না। এমনকি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও উল্টো পথে যেতে দ্বিধাবোধ করে না।’   

 এএইচএস/বিএস