ধর্ষণের ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তির দাবি

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৭:৪৬ পিএম ধর্ষণের ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তির দাবি
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন - ছবি : জাগরণ

দেশে শিশু যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে, এসব ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপ্রধান শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম। সচিবালয় সমন্বয়কারী ফেরদৌস আরা রুমীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আয়োকজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সদস্য তামান্না রহমান। এছাড়া জাতীয় কমিটি সদস্য মাহবুব আলম ফিরোজ, ঢাকা জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দা শামীমা সুলতানা, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল, ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট বলেন, শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নির্ভরতা দিয়ে তার জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জাতীয় মহিলা সংস্থা দেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে। শিশুদের সুস্থ-সুন্দর মানসিক বিকাশের জন্য সংস্থাটি এই কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, দেশের ৫০টির বেশি জেলায় উদযাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও সারাদেশে র‌্যালি, সেমিনার, মানববন্ধন, মেলা আয়োজন এবং গ্রামীণ নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রদানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন স্বেছাসেবী ও উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন করে আসছে। ইক্যুইটিবিডি আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির সচিবালয় হিসেবে কাজ করছে।

তামান্না রহমান বলেন, গত ৬ মাসে সারাদেশে ৫৭২ জন শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর এই শিশুদের মধ্যে একজন ছেলে শিশুসহ ২৩ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। অভিভাবকরা এই বিষয়ে পারিবারিক সম্মানের কথা ভেবে শিশুদের চুপ করিয়ে রাখে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে।

সৈয়দা শামীমা সুলতানা বলেন, একটি শিশুকে তার শরীরের তিনটি বিশেষ জায়গা যেমন, ঠোঁট, গোপনাঙ্গ ও পায়ুপথ সম্পর্কে জানাতে হবে। এখানে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না, যদি কেউ স্পর্শ করতে চায় তাহলে সে যেন চিৎকার করে- এগুলো জানাতে হবে। 

মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তি করতে হবে। থানায় ভিকটিম বা তার পরিবার মামলা করতে গেলে দোষারোপ না করে মামলা নিতে হবে এবং দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

টিএস/ এফসি

আরও সংবাদ