তুর্ণা নিশীথা’র যাত্রী 

‘একটি বগির একজন লোকও বাঁচেনি!’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:০৩ এএম ‘একটি বগির একজন লোকও বাঁচেনি!’
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দুটি

উদয় ট্রেনের একটি বগির একজন যাত্রীও জীবিত নেই বলে জানিয়েছেন তুর্ণা নিশীথার প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী আসিফ সম্পাদক শান্ত নুর। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এরকম একটি লেখা শেয়ার করেন। 

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন- চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেন ‘তুর্ণা নিশীথা’ ট্রেনে তিনি কক্সবাজার থেকে উঠেন। তিনি নিজের পরিচয় লিখেছেন তিনি কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি। 

শান্ত নুর লিখেছেন- ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশে এটা সবচাইতে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। বেশ খারাপ লাগছে নিহতদের ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে। আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ স্টেশন এলাকায়।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শান্ত নুর বলেন, ‘তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি মাত্র কুমিল্লা ছেড়ে কিছু দূর গেল। মধ্যরাতে ট্রেনটা মোটামুটি অনেক গতিতেই চলছিল। ট্রেনটি যে লাইনে চলছিল অপর ট্রেনটির শেষ কয়েকটা বগি তখনও তূর্ণা এক্সপ্রেসের লাইন ক্রস করে পুরোপুরি বিপরীত লাইনে যেতে পারেনি। এ কারণে অনেক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয় এবং সেই ধাক্কায় ট্রেনটি লাইনে ঠিক থাকতে পারলেও উদয়ন এক্সপ্রেস তার লাইনে থাকতে পারেনি এবং ওই ট্রেনের শেষদিকের সবকটি বগি উল্টে যায়।

দেখা গেলো, এক্সিডেন্ট হওয়া বগির যত যাত্রী ছিলো তাদের গুটি কয়েকজন ছাড়া সবাই মৃতপ্রায়! আবার আরেকটি বগির একজন লোকও বাঁচেনি! প্রথমে একজন নারীকে জীবিত দেখলেও ওই নারীর দুই পা কেটে গেছে। চিৎকার করে শুধু পানি চেয়েছে।

এছাড়াও পরে জীবিত বাকি আরো কয়েকজনকে দেখলেও কারো হাত নেই কারো পা নেই— এমন লাশ অনেক পড়ে আছে। যারা বেঁচে আছে তারা শুধু চিৎকার করছে আর কাতরাচ্ছে।

বিএস 
 

আরও সংবাদ