ধর্ষণের প্রতিবাদ

ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙালেন উপাচার্য

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৮:৫৯ এএম ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙালেন উপাচার্য
চার শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করাছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান- ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চার শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে তারা অনশন ভেঙেছেন। তবে ২০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের ৪ দফা দাবি পূরণ না হলে তারা ফের অনশন শুরু করবেন। 

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে ৪ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। প্রচন্ড শীতের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী টানা ৪৮ ঘণ্টা অনশনে কষ্ট করছিলেন। 

অনশন ভাঙার পর সিফাতুল ইসলাম বলেন, আপাতত অনশন স্থগিত করেছি। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৪ দফা দাবি পূরণ না হলে আবারও অনশন করব। কেবল মামলার অগ্রগতি নয়, আমরা একটি দৃশ্যমান সামাজিক পরিবর্তন চাই। যদি দেখি ২০ জানুয়ারির মধ্যে মামলার অগ্রগতি হয়েছে, তাহলেই আমার ৪৮ ঘণ্টার অনশন সার্থক হবে।

চার শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করাছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী- ছবি : সংগৃহীত

এর আগে, রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় এক ঢাবি শিক্ষার্থীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর শুনেই গত রোববার রাত সাড়ে ৩টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিফাতুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

সিফাতের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গত সোমবার থেকে অনশনে যোগ দেন ঢাবির আরও তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল, তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিউটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাফিজ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান।

এদিকে, অনশন করা ৪ শিক্ষার্থীর ৪ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা, সংশ্লিষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা, ধর্ষণের বিরুদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেয়া এবং দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

এইচএম/টিএফ
 

আরও সংবাদ