বাংলা চলচ্চিত্র ও দেশীয় সংগীতাঙ্গণের অদ্বিতীয় প্রাণ পুরুষ, লক্ষ-কোটি বাংলাদেশির আবেগ আর অনুভূতি যার সুরেলা কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে গান হয়ে; দেশের সেই প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কাঁদিয়ে গেলেন কোটি ভক্ত, অনুরাগী আর ভালোবাসার মানুষকে।
সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নিজ শহর রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের 'কিশোর কুমার', এন্ড্রু কিশোর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
দেশবরেণ্য এই গায়কের প্রয়াণের খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, বাংলা সঙ্গীত জগতের দুই জনপ্রিয় তারকা সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এবং সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু।
এন্ড্রু কিশোরের শ্যালক ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাতটায় তিনি মারা গেছেন। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। শোক সামলে উঠে আমরা গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাব।’
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কন্ঠশিল্পী দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে আসছিলেন। টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে গত ১১ জুন তিনি একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর থেকে রাজশাহীতে বোন শিখা বিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করছিলেন তিনি। শারীরিক অস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি বোনের পরিচালিত ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন।
শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় তিনি বলেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এসকে