লন্ডন হাই কমিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২০, ০৯:৫৩ এএম লন্ডন হাই কমিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সাতজন বীর শ্রেষ্ঠ ও সশস্ত্রবাহিনীর অন্যান্য সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে যথাযোগ্য মর্যাদায় “৪৯তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস” পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে হাই কমিশনে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’-কে তথ্যসমৃদ্ধ ও সচিত্র ব্যানারে সুসজ্জিত করে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন,স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ-বিধস্ত দেশ পুন:গঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়নের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক সেনাবাহিনী হিসেবে উন্নীত করার লক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রথম কাতারে স্থান অর্জনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রেখে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

লন্ডন হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ তার স্বাগত বক্তব্যে সংক্ষিপ্তভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার পটভূমি এবং পরবর্তীতে জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণসহ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় তাদের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

মিশনের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা লে: কর্ণেল সোহেল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা এবং সশস্ত্রবাহিনীসহ সকল বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি ও দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি প্রামান্য চিত্রও প্রদর্শন করা হয়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কূটনীতিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাগরণ/এমআর