চৌমুহনীতে হামলার মূল লক্ষ্য ছিল লুট

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১, ১২:০৫ এএম চৌমুহনীতে হামলার মূল লক্ষ্য ছিল লুট
টিভি থেকে নেয়া

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মূল লক্ষ্য ছিল লুট তরাজ। সেদিন এমন কোনও মন্দির নেই যেখান থেকে টাকা ও স্বর্ণ লুট হয়নি। চেনা মুখগুলোই এতে জড়িত ছিল। এখন তাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন ভূক্তভোগিরা।

ইসকন মন্দিরের সামনে যতন সাহাকে যখন পিটিয়ে হত্যা করা হয়; তখন আড়ালে লুকিয়ে তার আর্তনাদ শুনছিলেন স্ত্রী লাকী সাহা। নারীরা সম্ভ্রম বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ঘরের মাচায়। 

নিহত যতন সাহার স্ত্রী লাকি সাহা জানান, বিয়ের পর দুর্গা উৎসবে কখনও চৌমুহনী আসেন নি। এবার লাল শাড়ি পড়ে এসেছিলেন চার বছরের সন্তান ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে। তবে তার উৎসবের সেই লাল শাড়ি এখন পরিণত হয়েছে সাদায়। 

লাকি বলেন, আদিত্য এখনও জানে না কি অপরাধে তার বাবার এমন নির্মম মৃত্যু হলো। সে এখন মানুষ দেখলে ভয় পায়।

সেদিনের নির্যাতনে আহত রতন সাহা জানান, প্রান্ত সাহাকে পিটিয়ে ফেলে দেয়া হয় মন্দিরের সামনের পুকুরে। লাশ মেলে পরদিন। এলোপাথাড়ি পেটানোর পর আমাকেও মৃত ভেবে ফেলা হয় পুকুর পাড়ে।

ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর একাধিক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারকীয় সেই দিন বাড়ির মেয়েরা আশ্রয় নেয় ঘরের মাচায়।

কারা চালিয়েছে এমন তাণ্ডব? প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সবাই চেনা মানুষ। কিন্তু নাম বলা যাচ্ছে না।

নোয়াখালীর ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রন্তস্বর দেবনাথ বলেন, মন্দিরে হামলার সময় সবাই দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। সেই খাবার এখনও পরে আছে। তিনটি মোটরসাইকেল, রথের গাড়ি, প্রতিমা সব পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কথিত ধর্মরক্ষাকারীরা লুটে নেয় সিন্দুকের টাকা আর স্বর্ণ। প্রাণ বাঁচতে খাটের নিচে আর টয়লেটে লুকিয়ে ছিল মানুষ। কয়েকশ হিন্দু পরিবারের সেই আতঙ্ক কাটেনি এখনও।

জাগরণ/এমএ