পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরিটি মেয়াদোত্তীর্ণ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০২:১৪ পিএম পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরিটি মেয়াদোত্তীর্ণ
সংগৃহীত ছবি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে ভিড়তে গিয়ে একপাশ কাত হয়ে ডুবে গেছে ফেরি আমানত শাহ। এতে পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ি সহ ১৯টি যানবাহন নদীতে পড়ে গেছে।

জানা গেছে, ফেরিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে এক বছর আগে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফেরিডুবির ঘটনাটি ঘটে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। সেইসাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিআইডব্লিউটিসি’র উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। 

সকাল ৯ টায় দৌলদুয়া ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে আসে ফরিটি। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দিয়ে একটি ট্রাক ঘাটে উঠানো হয়েছে। এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। বাকীগুলো উদ্ধার করার কাজ চলছে। তবে কোনন হতাহতে ঘটনা এখনও পাওয়া যায়নি। 

কীভাবে ফেরিটি ডুবে গেল- সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ওই ফেরির কয়েকজন যাত্রীর দাবি ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরপরই ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। ঘাটে ভেড়ার পর ফেরি কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে।

শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, ফেরির নিচে যে ডাম্প (ফাঁকা অংশ) থাকে, সেখানে ফুটো হয়ে পানি ঢোকায় নৌযানটি উল্টো গেছে বলে তারা ধারণা করছেন। তবে হতাহতের কোনও খবর তারা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি হবে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ভেতরে যদি কোনও লোক থাকে তাদের উদ্ধার করা। আমরা সেই কাজটি করছি।’

১৯৮০ সালে ডেনমার্ক থেকে কেনা ফেরিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় ১ বছর আগে। জাহাজ চলাচল আইন অনুযায়ী ৪০ বছর পার হলেই তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। কিন্তু আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই যাত্রী ও পণ্য পারাপার করা হচ্ছিল। শুধু মেয়াদোত্তীর্ণ নয় বেশিভাগ ফেরিরই নেই হালনাগদ সনদপত্র।

জাগরণ/এমএ