শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হাফিজ কমপ্লেক্সে পৌঁছায় সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় তাকে নিয়ে সিলেটে আসার আবদারও করেছিলেন বলে জানান প্রয়াতের অনুজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ঈদের আগে সিলেট আসতে চেয়েছিলেন। সিলেটে আসার জন্য তিনি সবসময় উদগ্রীব থাকতেন। শেষবেলাও সিলেটে আসতে চেয়েছিলেন।
প্রয়াতের ইচ্ছে অনুযায়ী, পরিবারের সকল সদস্য সড়কপথে তার সঙ্গে আসেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে দেখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকে হাফিজ কমপ্লেক্সে ভিড় করেন। এদের মধ্যে অন্যতম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
ছবি- ইউসুফ আলী
এই রিপোর্ট লেখার সময় (রাত সাড়ে ১০টা) হাফিজ কমপ্লেক্সে রাখা প্রয়াতের মরদেহ শেষবারের মতো দেখছেন নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নগরীর রায়নগরের ডেপুটি বাড়ি বা সাহেব বাড়ি হিসেবে পরিচিত পৈত্রিক বাড়ি সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
রোববার (১ মে) দুপুর ২টায় নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সর্বশেষ জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জানাজার আগে দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রয়াত অর্থনীতিবিদ মুহিতের মরদেহ রাখা হবে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিলেট-১ (সদর-নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। এই সময়ে তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের সবচেয়ে বেশিবার বাজেট প্রণয়নের রেকর্ড গড়েন। ‘আলোকিত সিলেট’ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
জাগরণ/জাতীয়/শোক/এসএসকে