দক্ষিণাঞ্চলের ঈদযাত্রা

এবার আগ্রহের শীর্ষে সড়কপথ

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ১২:৩৭ এএম এবার আগ্রহের শীর্ষে সড়কপথ
ফাইল ফটো

কোনও কাউন্টারেই দাঁড়াবার কোনও জায়গাটাও নেই। অথচ ঈদের বাকি এখনো ছয় দিন। কিন্তু দক্ষিণের ঈদযাত্রা যেন এখনই শুরু হয়ে গেছে। ঈদে বাড়ি ফেরা সেই সাথে পদ্মা সেতু দেখা।

দুইয়ে মিলে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। অথচ গেলো ইদুল ফিতরের সময়েই ছিল দৃশ্যপট একবারে ভিন্ন। দক্ষিণের পথে ঈদযাত্রায় ঘরে পেরা মানুষের প্রধান আকর্ষনই ছিল নদীপথ।

এরই মধ্যে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন রুটে নামা বিলাসবহুল বাসগুলোর টিকেট শেষ। কাউন্টারে এসে টিকেট না পেয়ে অনেকে চেষ্টা করছেন অনলাইনে অন্য বাসের টিকেট পাবার।

তাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিলছে না। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগও আছে যাত্রীদের। কারণে যাত্রীদের বেশিরভাগের জানা ছিলো না যে, ২৪ জুন থেকেই চলছে ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি।

ঈদের এতো আগেই যাত্রীর এমন চাপ দেখে অবাক কাউন্টার কর্মীরাও। তারা বলছেন, নতুন এ রুটে যে পরিমান যাত্রী আসছে তা তাদের ধারনারও বাইরে। এতো বাসও নেই কোম্পানিগুলোর।

৩ থেকে ৯ তারিখের বেশিরভাগ ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শেষ।

পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বলছেন, সড়কে যানজট না হলে ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে ফিরবেন দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ।

গ্রীন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী যেতে এখন সময় লাগছে অনেক কম। আগে ফেরির জন্য যে সময় অপেক্ষা করতে হতো সেই সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে।

এতে করে একদিকে যাত্রীরা যেমন খুশি, তেমনি তাদের জ্বালানি খরচও কমে এসেছে। কমেছে পরিশ্রমও। বেড়েছে ট্রিপের সংখ্যাও।

ইলিশ পরিবহন জানায়, এখনোওহাতে গোনা কিছু পরিবহন বাড়তি ট্রিপের ওপর ভরসা করে টিকেট দেয়ার চেষ্টা করছে।

সবার একটাই শংকা বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক আর পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার যানজট নিয়ে। সেই সাথে ভাঙ্গার পর থেকে সড়কে যানজট পরিস্থিতিও খারাপ হতে পারে।

জাগরণ/যোগাযোগ/এসএসকে