সিলেটে বন্যা পরবর্তী সংকট চরমে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ১২:৫৯ এএম সিলেটে বন্যা পরবর্তী সংকট চরমে
সাম্প্রতিক ছবি

সিলেটে নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সুখবর মিললেও সংকট পৌঁছেছে চরমে। পানি কমায় জেগে উঠছে প্লাবিত এলাকা। প্রতিদিনই বাড়ছে বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগ। তীব্র হচ্ছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। ছড়াচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এখনও বহুদূর। এখনও পানিবন্দী ২০ লাখের বেশি মানুষ। ঘর হারিয়ে বহু মানুষের ঠাঁই মিলেছে সড়কে।

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ বিধ্বস্ত বসতভিটায় ফিরে গেলেও, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখনো বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ঘরবাড়ি। গোলার ধান পানিতে ডুবে অঙ্কুরিত হয়ে গেছে। দিশেহারা মানুষগুলো এখন খুঁজছে জীবনযুদ্ধের পুঁজি।

সুনামগঞ্জে গত দুইদিন বৃষ্টি না হওয়ায় উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। কমতে শুরু করেছে হাওর ও নদীর পানি। জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ উপজেলার ৪৫ হাজার ২৮৮টি ঘরবাড়ি। বানের পানিতে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব জেলার অর্ধলক্ষ মানুষ।  ভেসে গেছে ২৫ হাজার মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক।

নেত্রকোনায় বন্যার পানি নামছে ধীরে। নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিবন্দী ২৫ হাজার পরিবার। এলাকায় খাবার ও পানি সংকটের পাশাপাশি ছড়াচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ। কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি পানির নিচে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখাসহ ৫ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার আড়াই লাখ মানুষ গত ১৭ দিন ধরে পানিবন্দী।

জাগরণ/পরিবেশ/বন্যাপরিস্থিতি/এসএসকে