ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন-কৃষক বাঁচান : বি. চৌধুরী

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৯, ০৯:৩৩ পিএম ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন-কৃষক বাঁচান : বি. চৌধুরী


ভর্তুকি দিয়ে হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে কৃষকদের বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। 

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কৃষক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অন্যথায় জাতি হিসাবে আমাদের মাশুল দিতে হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনের পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টে বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারা বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বি চৌধুরী বলেন, কোনো অজুহাত নয়, কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। প্রয়োজনে অর্ধেক দাম আগাম দিয়ে কৃষকের গোলায় ধান রাখা ও সরকারি গুদামে সরবরাহের পর বাকি অর্ধেক দাম পরিশোধ করার পদ্ধতি চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। সরকারি গুদাম খালি না থাকলে বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতের গুদাম ভাড়া নিতে হবে।

বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মোবিন চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, আমাদের কৃষককে অবহেলা করলে চলবে না। কৃষক ধানের মূল্য পাবে না আর রূপপুরে বালিশ কিনতে খরচ হবে হাজার হাজার টাকা তা হতে পারে না। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী দেশের উন্নয়নে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কৃষক-শ্রমিকের গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই আজীবন তাদের পক্ষে রাজনীতি করেছেন। 

তিনি আগামী বাজেটে দেশের কৃষক, পাটশিল্প রক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ রাখার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। 

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন,  কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পয়ে কৃষকের ফসল পুড়ছে, দেশের পাটশিল্প ধ্বংস হচ্ছে, শ্রমিক পাচ্ছে না তার পাওনা, আর রূপপুরে হরিলুট চলছে জনগণের টাকা।

সংগঠনের সভাপতি মো. আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াৎ হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রধান সংগঠক আবু লায়েস মুন্না, বিকল্পধারার ভাইস চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ওয়াসিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ জনতা লীগ সভাপতি ওসমান গনি বেলাল, লেবার পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম সুরুজ, যুবধারা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সারোওয়ার, শ্রমজীবী ধারার সাধারণ সম্পাদক আরিফূল হক সুমন প্রমুখ।            

টিএস/আরআই