প্রথমা প্রকাশন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইয়ে মিথ্যা তথ্য লেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, যারা এই বইটি ছাপিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে এই প্রকাশনী সংস্থা, যারা এই মিথ্যা প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই প্রকাশনা সংস্থাকে বন্ধ করার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম-বোয়াফের আয়োজনে ‘ইতিহাস বিকৃতি ও আমাদের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির লোভে পড়ে এ কে খন্দকার তার বইতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘৯০ এ যখন তিনি পা দিলেন তখন তার মধ্যে মৃত্যুভয় আসলো। যখন তিনি বুঝতে পারলেন, মৃত্যু তো বেশি দূরে নয়, তখন তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন। বললেন, তার বইয়ে এ বিষয়ে যা লেখা হয়েছে তা ভুল ও মিথ্যা।
সেখানেও এ কে খন্দকার ‘মিথ্যার আশ্রয়’ নিয়েছেন দাবি করে বিচারপতি মানিক বলেন, তিনি চাপের কারণে এতদিন পারেননি তার বইয়ের যে ভুল তা শোধরাতে। উনি ডা. জাফরুল্লাহ ও মইদুল ইসলামের কথা উল্লেখ করেছেন। তাদের চাপেই নাকি তিনি এতদিন সত্য প্রকাশ করতে পারেননি। যখন বইটি প্রকাশ হয় তখনও সরকারে ছিলেন শেখ হাসিনা। সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণই ছিল না।
তিনি বলেন, মইদুল ইসলাম তো মারা গেছে। বেঁচে আছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যারা বেঁচে আছেন তাদের বিচার করা হোক।
বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তুলি হোসেন। বক্তব্য রাখেন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়সহ প্রমুখ।
টিএস/টিএফ