ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তামাশা ছাড়া কিছুই নয়: আব্দুর রহমান

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ১২:২৮ পিএম ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তামাশা ছাড়া কিছুই নয়: আব্দুর রহমান
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান


জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনি ইশতেহার জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। 

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে একথা বলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা ও দুর্নীতি রোধ করার অঙ্গীকারের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘২৩ জনের অধিক ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের উত্তসুরিদের নিয়ে তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। আর যুদ্ধাপরাধীরা ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয় প্রশ্রয়েই আছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা করবে এটা একটা হাস্যকর ব্যপার, অবিশ্বাস্য। “স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন পর্যন্ত দিয়েছে, তারা কি করে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? এটা জনগণের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’ 

জাতিকে বিভ্রান্ত করে এই ইশতেহারের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তামাশা করছে বলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতির আখরা তৈরি করেছিলো। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। তাদের মুখে দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার কথা ভুতের মুখে রাম নাম। দেশের মানুষ কোনো ভাবেই বিশ্বাস করে না যে তারা দুর্নীতি দূর করবে, এটা ভোটের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র। তাদের ইশতেহার রাজনৈতিক অপকৌশলের ইশতেহার। মানুষের সঙ্গে তামাসা করার জন্য এই ধরণের ইশতেহার তারা দিয়েছে।’

আব্দুর রহমান বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের মধ্যদিয়ে আমাদের কাছে পরিস্কার হলো, এই নির্বাচনকে বানচালের নানা চক্রান্তের জাল বুনছে তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন তাদেরকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই। যে কোনো মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন,  শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা, উন্নয়ন অর্জনের কারণে আবারও শেখ হাসিনাকে দেশের জনগণ ক্ষমতায় আনবে। জনগণের এমন আকাঙ্খার প্রতিফলন ৩০ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে। এই আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে তারা। 
 
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম,  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 

এএইচএস/বিএস