খালেদার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১২:৫৩ পিএম খালেদার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
খালেদার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ - সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মিছিল শেষে পথসভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ছাত্রদল নেতা কাউসারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল শেষে এক পথসভায় বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মিডনাইট নির্বাচনের অবৈধ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে গায়ের জোরে বন্দি করে রেখেছে। বন্দি করার মধ্য দিয়ে তারা শুধুমাত্র দেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রীকেই বন্দি করে রাখেনি বরং তারা গোটা দেশ, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও এক শ্বাসরুদ্ধকর বন্দীশালায় আটকে রেখেছে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ হবে, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ফিরে পাবে। তাই দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। 

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ। তিনি চলাফেলা করতে পারছেন না। নিজ হাতে খেতে পারছেন না। এ অবস্থায় সরকার প্রধানকে বলবো-প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। নইলে জনগণের তীব্র ক্ষোভে আপনার মসনদ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।

এসময় রিজভী আহমেদ আরও বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত আত্মা দিয়ে জাতীয় পার্টি তৈরি বলেই মশিউর রহমান রাঙ্গাদের মতো রাজনৈতিক ‘ভবঘুরেরা’ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী নুর হোসেনের মতো শহীদদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কথা বলতে পারে। এরা লুটপাটের আদর্শে উদ্বুদ্ধ গণতন্ত্রের শত্রু বলেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে পারে। সেজন্য তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী আরেকটি শক্তি  বর্তমান হানাদার শাসকদের সাথে পরাজিত স্বৈরাচার হাত মিলিয়ে গণতন্ত্র এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দুই স্বৈরাচার এখনও গণতান্ত্রিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে গুম ও খুনের মাধ্যমে বিভিষিকা তৈরী করে রেখেছে। অথচ শহীদ নুর হোসেন আওয়ামী লীগেরই কর্মী ছিলেন। কিন্তু নির্লজ্জভাবে ‘৯০ এর পরাজিত স্বৈরাচারের ‘পথকলিদের’সঙ্গে জোট করে নুর হোসেনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রকে দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে। 

আমি শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে রাঙ্গার অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারের তীব্র ধিক্কার জানাই, প্রতিবাদ জানাই।  
এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নানা শ্লোগান দেন। 

টিএস/বিএস